সরদার ফজলুল করিম

‘মানুষের মৃত্যুদিন হচ্ছে তাঁর সত্যিকারের জন্মদিন। কারণ জন্ম থেকে শুরু হওয়া সার্কিটটা সম্পূর্ণ হয় মৃত্যুতে এসে। মৃত্যুর পর একজন মানুষের পুরো পোর্ট্রটেটা সামনে দৃশ্যমান হয়, তাই মৃত্যুই তাঁর আসল জন্মদিন’। কথাগুলো সরদার ফজলুল করিমের। তিনি ছিলেন আজীবন সংগ্রামী, বরেণ্য দার্শনিক, লেখক, শিক্ষাবিদ এবং রাজনীতিবিদ। তিনি মানবিক সংগ্রামী আদর্শ, উঁচু মানের রাজনৈতিক চিন্তা ও প্রাতিষ্ঠানিক দর্শন চিন্তায় আন্তর্জাতিক পরিম-লে বাঙালিদের আলোকিত করেছেন। Continue reading সরদার ফজলুল করিম

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম

কথা সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ১৯২৯ সালের ৩ মে জন্মগ্রহণ করেন। একাত্তরে তার জ্যেষ্ঠ পুত্র শফি ইমাম রুমী কয়েকটি গেরিলা অপারেশনের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। পরবর্তী সময়ে নির্মমভাবে শহীদ হন। এরপর থেকেই জাহানারা ইমাম ‘শহীদ জননী’র মযার্দায় ভূষিত হন। জাহানারা ইমামের ডাক নাম জুড়–। ত্রিশ ও চল্লিশ দশকের রক্ষণশীল বাঙালি মুসলমান পরিবার বলতে যা বোঝায়, সে রকম একটি পরিবারেই জন্মেছিলেন তিনি। জাহানারা ইমামের বাবা সৈয়দ আবদুল আলী ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। মা সৈয়দা হামিদা বেগম। শিক্ষক হিসেবে তার কর্মময় জীবনের প্রথমকাল কাটে ময়মনসিংহ শহরে। সেখানে বিদ্যাময়ী বালিকা বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে ১৯৪৮ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত তিনি কর্মরত ছিলেন। এরপর তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (১৯৫২-১৯৬০), বুলবুল একাডেমি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক (১৯৬২-১৯৬৬) এবং ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রভাষক (১৯৬৬-১৯৬৮) হিসেবে তাঁর কর্মজীবন অতিবাহিত হয়। তিনি কিছুদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবেও কাজ করেন। Continue reading শহীদ জননী জাহানারা ইমাম

সত্যেন সেন

সত্যেন সেন (২৮ র্মাচ, ১৯০৭ – ৫ জানুয়ারি ১৯৮১)

সত্যেন সেন (২৮ র্মাচ, ১৯০৭ – ৫ জানুয়ারি ১৯৮১), বাংলাদশে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী এবং প্রগতি লখেক ও শিল্পী সংঘরে প্রতষ্ঠিাতা, ব্রটিশিবরিোধী আন্দোলনরে কিংবদন্তি বপ্লিবী, সাহত্যিকি, শ্রমকি সংগঠক।

সত্যেন সেন ১৯০৭ সালরে র্মাচ ২৮ তারখিে বক্রিমপুর (র্বতমান মুন্সীগঞ্জ) জলোর টঙ্গীবাড়ী উপজলোর সোনারং গ্রামরে সনে পরবিারে জন্মগ্রহণ করনে। ছোটবলোয় ডাক নাম ছলি লস্কর। তাঁর পতিা নাম ধরনীমোহন সনে, এবং মাতার নাম মৃণালীনি সনে। চার সন্তানরে মধ্যে সত্যনে ছলি র্সবকনষ্ঠি। সোনারং গ্রামরে সনে পরবিার ছলি শক্ষিা ও সংস্কৃতি র্চচার এক অনন্য উদাহরণ। Continue reading সত্যেন সেন

শহীদ অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ

গিয়াসউদ্দিন আহমেদ (জন্ম: ১৯৩৫ – মৃত্যু: ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সিনিয়র লেকচারার, মহসিন হলের হাউস টিউটর, শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী ছিলেন। <!–more–>নরসিংদীতে জন্ম নেয়া গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, পরিবারে বাচ্চুদা নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি সেন্ট গ্রেগরী বিদ্যালয় থেকে ১৯৫০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় অষ্টম স্থান এবং ১৯৫২ সালে নটরডেম কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় দশম স্থান অধিকার করেন। গিয়াসউদ্দিন দাবা, ব্রিজ (তাস), বাস্কেটবল, টেনিস বিভিন্ন খেলায় পারদর্শী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে দাবা চ্যাম্পিয়ন এবং এস এম হলের বাস্কেটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন।

গিয়াসউদ্দিন ১৯৫৭ সালে এম এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কিছুদিন জগন্নাথ কলেজে শিক্ষকতা করেন। এরপরে তিনি ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর ইতিহাস বিভাগের লেকচারার হিসেবে যোগ দেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, রাজাকার ও আল-বদর বাহিনী পরিকল্পিত বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে তিনি অপহৃত ও পরে শহীদ হন। আল বদর বাহিনীর কমান্ডার আশরাফুজ্জামান খান এ অপহরণে নেতৃত্ব দেয়। তাকে সহযোগিতা করে চৌধুরী মুঈনুদ্দীন নামের এক আলবদর সদস্য।

শওকত ওসমান

শওকত ওসমান (জন্ম: ২ জানুয়ার,ি ১৯১৭ – মৃত্যু: ১৪ ম,ে ১৯৯৮) বাংলাদশেরে একজন চন্তিক, লখেক ও কথাসাহত্যিক। তাঁর পতৈৃক নাম শখে আজজিুর রহমান। নাটক, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, রস-রচনা, রাজনতৈকি লখো, শশিু-কশিোর সাহত্যি র্সবত্র তনিি উল্লখেযোগ্য অবদান রখেে গছেনে। মুক্তযিুদ্ধ ও র্ধমনরিপক্ষেতার পক্ষে তনিি ছলিনে এক উচ্চকতি কণ্ঠরে অধকিারী। ‘ক্রীতদাসরে হাস’ি তাঁর একটি জনপ্রয়ি ঐতহিাসকি উপন্যাস। বাংলাদশেরে সাহত্যি, সংস্কৃতি ও মুক্তবুদ্ধরি আন্দোলনে জীবনব্যাপী অবদানরে স্বীকৃতস্বিরূপ তনিি একুশে পদক, বাংলা একাডমেি পুরস্কার ও স্বাধীনতা দবিস পুরস্কার-এই তনিটতিইে ভূষতি হয়ছেলিনে। Continue reading শওকত ওসমান