এই বোমাবাজির হরতালেতে গরীব দুঃখীর আছে কী

কথা: সিদ্দিক মোল্লা

এই বোমাবাজির হরতালেতে গরীব দুঃখীর আছে কী
ওরা ককটেল দিয়ে মানুষ মারে, এ যে কেমন রাজনীতি
এই বোমাবাজির হরতালে গরীব দুঃখীর আছে কী
পেটের দায়ে গরীব দুঃখী কাজ করিতে যায়
ঘর থেকে বের হওয়া যায় না ককটেলের জ্বালায়
ঘরে তার বউ পোলাপানে না খাইয়া থাকে দেখি
এই বোমাবাজির হরতালেতে গরীব দুঃখীর আছে কী
আমার ভোট আমি দেব যারে খুশি তারে দেব,
ককটেল দিয়ে মানুষ মারো কার সুখের আশায়
কেন তুমি দেখতি চাও বাবা মায়ের চোখের পানি।।
এই বোমাবাজির হরতালেতে গরীব দুঃখীর আছে কী
পাগল সিদ্দিক ভেবে বলে কৃষক শ্রমিক ভাই
এই বোমাবাজির সমাজ ভেঙ্গে শান্তির সমাজ চাই।
তাই কৃষক শ্রমিক এক হইয়া সমাজটা গড়ো দেখি
এই বোমাবাজির হরতালেতে গরীব দুঃখীর আছে কী
ককটেল দিয়ে মানুষ মারে এ যে কেমন রাজনীতি
এই বোমাবাজির হরতালেতে গরীব দুঃখীর আছে কী।।

৪০ বছর স্বাধীন হলো ভাগ্যের বদল হল না

কথা: সিদ্দিক মোল্লা

৪০ বছর স্বাধীন হলো ভাগ্যের বদল হল না
কত সরকার আইরো গেল গরীব কিছু পাইলো না।
৪০ বছর স্বাধীন হলো ভাগ্যের বদল হলো না।
৭২-এর সেই সংবিধান আজো হয় নাই তার সমাধান
ধনি গরীব এই ব্যবধান আর কিছু তো দেখি না।।
৪০ বছর স্বাধীন হলো ভাগ্যের বদল হলো না
বঙ্গবন্ধুর যে কল্পনা মুখে বলে কাজে হয় না
ধনি আরো ধনি হলো, গরীব কিছু পাইলো না
৪০ বছর স্বাধীন হলো ভাগ্যের বদল হল না
পাগল সিদ্দিক ভেবে বলে এসোরে ভাই দলে দলে
কৃষক শ্রমিক ছাত্র মিলে গড়তে হবে সেই সমাজ খানা
৪০ বছর স্বাধীন হলো ভাগ্যের বদল হলো না।

এই কোটি পতির সমাজে দেখিলাম ঘুরে ফিরে

কথা: সিদ্দিক মোল্লা

এই কোটি পতির সমাজে দেখিলাম ঘুরে ফিরে
গরীব দুঃখীর আপন কেহ নাই
ও কৃষক ভাই, গরীব দুঃখীর আপন কেহ নাই।
কোটিপতি হলে বুক ফুলিয়ে বলে
আল্লায় দেছে আমার কিছু নাই।
এই কোটিপতির আঘাতে গরীব রইল ফুটপথে
আল্লায় বুঝি তাদের দেখে নাই,
ও শ্রমিক ভাই গরীব দুঃখীর আপন কেহ নাই
নির্বাচন আসিলে ওই কোটিপতি বলে
তুমি আমি একই বংশের ভাই।
নির্বাচন ফুরাইয়া গেলে নিজে নিজের পেট ভরে
সংসদে গরীবের কথা নাই
ও কৃষক ভাই, গরীব দুঃখীর আপন কেহ নাই।
পাগল সিদ্দিক ভেবে বলে এসোরে ভাই দলে দলে
সুন্দর একখান সমাজ গড়তে চাই
যে সমাজে খাবার দেয় না ভাত কাপড়ের কথা কয়না,
ওই সমাজ গরীবের দরকার নাই
ও শ্রমিক ভাই গরীব দুঃখীর আপন কেহ নাই।
এই কোটিপতির সমাজে দেখিলাম ঘুরে ফিরে
গরীব দুঃখীর আপন কেহ নাই।

ধনীর সাথে গরীব লোকের পিরিত সাজে না

কথা: সিদ্দিক মোল্লা

ধনীর সাথে গরীব লোকের পিরিত সাজে না
ওরা মুখে বলে মিষ্টি বুলি কাজের বেলায় থাকে না।
ধনীর সাথে গরীব লোকের পিরিত সাজে না।
নির্বাচন আসিলে পরে বন্ধুর অভাব নাই
নির্বাচন ফুরাইয়া গেলে খুঁজিয়া না পাই।
(গরীব) থাকে কী না খাইয়া মরে
বন্যা কি সিডরে মরে তাদের খবর রাখে না।
ধনীর সাথে গরীব লোকের পিরিত সাজে না।
বড় বড় কলকারখানা বন্ধ করে দিয়ে
শ্রমিকদের রাখে ওরা বেকারও বানায়া।
এখন শ্রমিক থাকে না খাইয়া তাদের খবর রাখেনা।
ধনীর সাথে গরীব লোকের পিরিত সাজে না।
পাগলা সিদ্দিক ভেবে বলে ওগো শ্রমিক ভাই
সমাজ পাল্টানো ছাড়া মোদের কোনো উপায় নাই।
তাই সমাজটা পাল্টাতে হলে বসে থাকলে চলবে না
ধনীর সাথে গরীব লোকের পিরিত সাজে না।
ওরা মুখে বলে মিষ্টি বুলি কাজের বেলায় থাকে না
ধনীর সাথে গরীব লোকের পিরিত সাজে না।

আগু নিভাইবো কেরে

কথা : সত্যেন সেন
সুর : শেখ লুৎফর রহমান

আগু নিভাইবো কেরে
এ আগুন নিভে নিভে নিভে
আগুন নিভে নিভে নিভে না
এ আগুন জ্বলে দ্বিগুন
জ্বলে দ্বিগুন
চাপা দিলেও এ আগুন নিভবে না
ঘরে ঘরে জ্বলে আগুন
এ আগুন জ্বলে মনে মনে
এই যে চোখের জ্বলে আগুন জ্বলে
নিভাইবো কেমনে
হায় হায় নিভাইবো কেমনে
আইলোরে ঐ ঝড়ের হাওয়া
ছাই চাপা রবে না আগুন
ছাই চাপা রবে না রে
তোমার ঐ জঙ্গী আইন চলবে ক’দিন
যতই করো জারি
ঘরে ঘরে ডাক পাঠাই একুশে ফেব্রুয়ারি
মজুর কিষান ছাত্র ভাইরা
তারা উঠবে আবার ডুলা ঝাইড়া
তাদের আপন দাবী নেবে কাইড়া
হুমকিতে ফল
ও তোর হুমকিতে ফল
ফলবে না
ও যারা দাঙ্গা করে মানুষ মারে
বুঝে নারে পথের গতি
ও যারা দাঙ্গা করে
সেকি কভু চিন্তা করে
এটাই আমার দেশের ক্ষতি
কেউবা তাদের তালে পরে
পরের ঘরে দেয় আগুন
প্রাণ বাঁচাতে পরের হাতে
তোর বাবা হইয়াছে খুন
মা মাসী বোন ভগ্নী জামাই
দাঙ্গাতে কেউ পায় নারে হাই
কে শোনে তার বাপের দোহাই
পায়ে ধরলে মারে লাথি।
হোক না সে ভিন্ন জাতি
তাতে কোন ক্ষতি নাই
ভালবেসে আদর করে
পরকে আপন করা যায়
সুবল দাসের কথা ধরো
মিলেমিশে কর্ম করো
দেশের শত্রুু দমন করো
কেউ করোনা কারো ক্ষতি