মোরা ইনসাবের দুনিয়া গড়তে চাই শোন যুবক ভাই

কথা: সিদ্দিক মোল্লা

মোরা ইনসাবের দুনিয়া গড়তে চাই শোন যুবক ভাই
মোরা ইনসাবের দুনিয়া গড়তে চাই
ভাইরে ভাই সর্বহারার একটা দাবী
ভাত-কাপড় কাজ জমি দিবি
এই দাবীতে জোট বাঁধো সবাই
সর্বহারা কৃষক মিলে জোট বাঁধো ভাই দলে দলে
করতে হবে ভাই মুক্তিরও লড়াই।।
ও যুবক ভাই মোরা ইনসাবের দুনিয়া গড়তে চাই
ভাইরে ভাই গরীব দুঃখীর এক আওয়াজ
ভাত-কাপড় জমি কাজ এই দাবীতে জোট বাঁধো সবাই
ছাত্র-শ্রমিক যুবক মিলে গড়তে হবে মুক্তিরও লড়াই
ও যুবক ভাই মোরা ইনসাবের দুনিয়া গড়তে চাই
ভাইরে ভাই কেউ খাবে আর কেউ খাবে না
এইভাবে চলতে পারে না
এই সমাজে আমরাও বাঁচতে চাই
তাই পাগল সিদ্দিক ভেবে বলে এসোরে ভাই দলে দলে
করতে হবে শান্তিরও লড়াই
ও যুবক ভাই মোরা ইনসাবের দুনিয়া গড়তে চাই।।

এই বোমাবাজির হরতালেতে গরীব দুঃখীর আছে কী

কথা: সিদ্দিক মোল্লা

এই বোমাবাজির হরতালেতে গরীব দুঃখীর আছে কী
ওরা ককটেল দিয়ে মানুষ মারে, এ যে কেমন রাজনীতি
এই বোমাবাজির হরতালে গরীব দুঃখীর আছে কী
পেটের দায়ে গরীব দুঃখী কাজ করিতে যায়
ঘর থেকে বের হওয়া যায় না ককটেলের জ্বালায়
ঘরে তার বউ পোলাপানে না খাইয়া থাকে দেখি
এই বোমাবাজির হরতালেতে গরীব দুঃখীর আছে কী
আমার ভোট আমি দেব যারে খুশি তারে দেব,
ককটেল দিয়ে মানুষ মারো কার সুখের আশায়
কেন তুমি দেখতি চাও বাবা মায়ের চোখের পানি।।
এই বোমাবাজির হরতালেতে গরীব দুঃখীর আছে কী
পাগল সিদ্দিক ভেবে বলে কৃষক শ্রমিক ভাই
এই বোমাবাজির সমাজ ভেঙ্গে শান্তির সমাজ চাই।
তাই কৃষক শ্রমিক এক হইয়া সমাজটা গড়ো দেখি
এই বোমাবাজির হরতালেতে গরীব দুঃখীর আছে কী
ককটেল দিয়ে মানুষ মারে এ যে কেমন রাজনীতি
এই বোমাবাজির হরতালেতে গরীব দুঃখীর আছে কী।।

৪০ বছর স্বাধীন হলো ভাগ্যের বদল হল না

কথা: সিদ্দিক মোল্লা

৪০ বছর স্বাধীন হলো ভাগ্যের বদল হল না
কত সরকার আইরো গেল গরীব কিছু পাইলো না।
৪০ বছর স্বাধীন হলো ভাগ্যের বদল হলো না।
৭২-এর সেই সংবিধান আজো হয় নাই তার সমাধান
ধনি গরীব এই ব্যবধান আর কিছু তো দেখি না।।
৪০ বছর স্বাধীন হলো ভাগ্যের বদল হলো না
বঙ্গবন্ধুর যে কল্পনা মুখে বলে কাজে হয় না
ধনি আরো ধনি হলো, গরীব কিছু পাইলো না
৪০ বছর স্বাধীন হলো ভাগ্যের বদল হল না
পাগল সিদ্দিক ভেবে বলে এসোরে ভাই দলে দলে
কৃষক শ্রমিক ছাত্র মিলে গড়তে হবে সেই সমাজ খানা
৪০ বছর স্বাধীন হলো ভাগ্যের বদল হলো না।

এই কোটি পতির সমাজে দেখিলাম ঘুরে ফিরে

কথা: সিদ্দিক মোল্লা

এই কোটি পতির সমাজে দেখিলাম ঘুরে ফিরে
গরীব দুঃখীর আপন কেহ নাই
ও কৃষক ভাই, গরীব দুঃখীর আপন কেহ নাই।
কোটিপতি হলে বুক ফুলিয়ে বলে
আল্লায় দেছে আমার কিছু নাই।
এই কোটিপতির আঘাতে গরীব রইল ফুটপথে
আল্লায় বুঝি তাদের দেখে নাই,
ও শ্রমিক ভাই গরীব দুঃখীর আপন কেহ নাই
নির্বাচন আসিলে ওই কোটিপতি বলে
তুমি আমি একই বংশের ভাই।
নির্বাচন ফুরাইয়া গেলে নিজে নিজের পেট ভরে
সংসদে গরীবের কথা নাই
ও কৃষক ভাই, গরীব দুঃখীর আপন কেহ নাই।
পাগল সিদ্দিক ভেবে বলে এসোরে ভাই দলে দলে
সুন্দর একখান সমাজ গড়তে চাই
যে সমাজে খাবার দেয় না ভাত কাপড়ের কথা কয়না,
ওই সমাজ গরীবের দরকার নাই
ও শ্রমিক ভাই গরীব দুঃখীর আপন কেহ নাই।
এই কোটিপতির সমাজে দেখিলাম ঘুরে ফিরে
গরীব দুঃখীর আপন কেহ নাই।

ধনীর সাথে গরীব লোকের পিরিত সাজে না

কথা: সিদ্দিক মোল্লা

ধনীর সাথে গরীব লোকের পিরিত সাজে না
ওরা মুখে বলে মিষ্টি বুলি কাজের বেলায় থাকে না।
ধনীর সাথে গরীব লোকের পিরিত সাজে না।
নির্বাচন আসিলে পরে বন্ধুর অভাব নাই
নির্বাচন ফুরাইয়া গেলে খুঁজিয়া না পাই।
(গরীব) থাকে কী না খাইয়া মরে
বন্যা কি সিডরে মরে তাদের খবর রাখে না।
ধনীর সাথে গরীব লোকের পিরিত সাজে না।
বড় বড় কলকারখানা বন্ধ করে দিয়ে
শ্রমিকদের রাখে ওরা বেকারও বানায়া।
এখন শ্রমিক থাকে না খাইয়া তাদের খবর রাখেনা।
ধনীর সাথে গরীব লোকের পিরিত সাজে না।
পাগলা সিদ্দিক ভেবে বলে ওগো শ্রমিক ভাই
সমাজ পাল্টানো ছাড়া মোদের কোনো উপায় নাই।
তাই সমাজটা পাল্টাতে হলে বসে থাকলে চলবে না
ধনীর সাথে গরীব লোকের পিরিত সাজে না।
ওরা মুখে বলে মিষ্টি বুলি কাজের বেলায় থাকে না
ধনীর সাথে গরীব লোকের পিরিত সাজে না।