রণেশ দাশগুপ্ত সাহিত্য-বিষয়ক ভাবনা ও মূল্যায়ন: সৌমিত্র শেখর

সদাপ্রত্যক্ষ এই জীবনযাপনের বাইরেও তো মানুষের আরো একটি জগৎ থাকে- ভাবনার পরিম-ল! এখানে কিন্তু অন্যের হাত সামান্য, এর স্বয়ম্ভু বিশ্বকর্মা সে নিজেই; ওই মানুষটি। তিনি যদি হন শিল্পী অথবা কোনো এক মহান আদর্শে বুক বেঁধে জীবনের সিঁড়ি ভেঙে সামনে এগিয়ে যাওয়া প্রত্যয়ী ধীমান-তাঁর ক্ষেত্রে এ জগৎটি আরও সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। রণেশ দাশগুপ্তর ক্ষেত্রেও ঘটেছে ঠিক এ-রকম একটা কিছু। তিনি একাধারে ছিলেন সাংবাদিক, তাত্ত্বিক-রাজনীতিক, সৎ-সংগঠক, সাহিত্যবোদ্ধা ও সমালোচক। বহুক্ষেত্র-বিচরিত মানুষ হলেও তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপের আত্মপ্রণোদনার উৎস কিন্তু চিন্তার নির্দিষ্টতা থেকে, আদর্শের নিগূঢ় আন্তঃপ্রেরণায়। সে-অর্থে ‘সাহিত্যশিল্পী’ হয়তো তিনি নন, তবে সাহিত্য-বিবেচক নিশ্চয়। এ বিবেচনা কোনো বৃশ্চিক-বিষ্ঠাজাত নয়; নিজস্ব চিন্তনের উর্বর ভূমিতেই প্রোথিত এর মূল-রসের অমিত উৎস যেখানে দ্বান্দ্বিক বন্তুবাদী দর্শন। Continue reading রণেশ দাশগুপ্ত সাহিত্য-বিষয়ক ভাবনা ও মূল্যায়ন: সৌমিত্র শেখর

আমার নেতা সত্যেন সেন: জসিম উদ্দিন মন্ডল

অবিভক্ত বাংলা সাহিত্যের প্রগতিবাদী লেখক হিসেবে এবং এদশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অগ্রগামী নেতা হিসাবে পরিচিত নাম সত্যেন সেন। সবচেয়ে বেশি পরিচিত তাঁর এদেশের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের দীর্ঘ কালের সংগঠন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী’র প্রধান প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে। এবছর সত্যেন সেনের জন্ম শতবার্ষিকী। সত্যেন সেনের সাথে আমার প্রথম দেখা কমিউনিস্ট পার্টি আন্ডার গ্রাউন্ডের থাকার সময় এক গোপন মিটিংয়ে, মিটিংয়ে আসল নামে চিনতে পারিনি পরে জেনেছি ইনিই সত্যেন সেন। কারণ পার্টি আন্ডার গ্রাউন্ডে থাকার সময় প্রায় সকল পার্টি সদস্য …… ব্যবহার করতেন। এটাই নিয়ম ছিল। এর বেশি কিছু পরে রাজশাহী জেল থেকে আমাকে যখন ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে আসা হল তখন ঢাকা জেলে আমাকে থাকতে দিল ২৬ সেলে। ২৬জন কয়েদি এখানে থা তো বলে নাম ২৬ সেল। যুক্তফ্রন্ট সরকারের পর তখন মুসলিম লীগ সরকার ক্ষমতায় সম্ভবত ১৯৫৬ সাল। আমি এখানে এসে পেলাম সত্যেন সেন, রণেশ দাশগুপ্ত, সন্তোষ ব্যানার্জী, অজয় রায়, শহীদুল্লাহ কায়সার, ধীরেন ভট্রাচার্য্য, ময়মনসিংহের আলতাব আলী, আওয়ামী লীগের মনিসহ আরো অনেককে, আজ আর সবার কথা মনে নেই। আমি অনেকের থেকে অনেক ছোট এবং নতুন হওয়ায় সত্যেনদা আমাকে তার পাশে নিয়েছিলেন। তাঁর নং ছিল ৬ আর আমার নং ছিল ৫। পাকিস্তান সরকারের নিপীড়নমূলক আচরণের কারণে অনেক নেতাকর্মী বিশেষ করে কমিউনিস্ট নেতাকর্মী তখন জেলে, তাদের মধ্যে সরকারের তরফ থেকে কারো কারো বন্ড সই নিয়ে জেল খানা থেকে ছেড়ে দিতো। সত্যেনদার বা রণেশ দাশসহ আরো অনেকের মধ্যে এরকম কোনো লক্ষন দেখিনি। তারা বছরের পর বছর জেলে কাটিয়েছেন কিন্তু বন্ড সই দিয়ে জেল থেকে বেরুনোকে তাঁরা সবাই ঘৃণার চোখে দেখতেন। Continue reading আমার নেতা সত্যেন সেন: জসিম উদ্দিন মন্ডল

সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ৪৪ বছর: প্রদীপ ঘোষ

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ইতিহাসে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী চুয়াল্লিশ বছরের পথ পাড়ি দিয়েছে। মেহনতী জনতার মুক্তির গণমিছিল গণসঙ্গীতের তরঙ্গে তরঙ্গায়িত করার ব্রত নিয়ে শিল্পী সংগ্রামী সত্যেন সেন ১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর মহাঅভ্যুত্থানের প্রাকপর্বে পাকিস্তানী নির্যাতন আর জুলুমের বিরুদ্ধে ধ্রুবতারার মত সৃষ্টি করেছিলো উদীচীকে। উনসত্তুরের গণ অভ্যুত্থান থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে, ৭২’র এর সংবিধান অনুসারে শোষণমুক্ত মেহনতী মানুষের সমাজ ব্যবস্থা নির্মাণে, অসাম্প্রদায়িক দেশগঠনে নিরন্তর সাংস্কৃতিক আন্দোলনে বিবেকের ভুমিকা পালন করেছে উদীচী। ৭৫ এর বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে সাংস্কৃতিক আন্দোলন আর প্রতিবাদে অগ্রনী থেকেছে। ৭৬ সালে মঞ্চে এনেছে বাংলার ইতিহাস আর লড়াই এর গীতিআলেখ্য ‘ইতিহাস কথা কও’। Continue reading সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ৪৪ বছর: প্রদীপ ঘোষ

গৌরবের ৪৫ বছর: সাংস্কৃতিক সংগ্রামের ধ্রুবতারা

প্রাণের উচ্ছাসে ভেসে, উচ্ছলতায় পরিপূর্ণ হয়ে লড়াই, সংগ্রামের ইতিহাসের উত্তরাধিকার বহন করার প্রত্যয় নিয়ে প্রতিষ্ঠার ৪৫ বছর উদযাপন করলো বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। Continue reading গৌরবের ৪৫ বছর: সাংস্কৃতিক সংগ্রামের ধ্রুবতারা

টাঙ্গাইলে তারাপদ দের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইল উদীচীর আমৃত্যু উপদেষ্টা, মুক্তি যুদ্ধের সংগঠক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ্যাডভোকেট তারাপদ দে গত ১০ অক্টোবর তিনি মৃত্যবরণ করেন। Continue reading টাঙ্গাইলে তারাপদ দের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত