আগামীকাল ০৪ জানুয়ারি রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল হলে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দর্শকনন্দিত নাটক “হাফ আখড়াই”-এর পরিবেশনা। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং উদীচীর কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকীর রচনা ও আজাদ আবুল কালামের পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন উদীচী কেন্দ্রীয় নাটক বিভাগের শিল্পীরা। আগামীকাল বিকাল ৫টা থেকে এক্সমেরিমেন্টাল হলের টিকেট কাউন্টারে নাটকটির টিকেট পাওয়া যাবে।
ঊনিশ শতকের গোড়ার দিকে বাংলা টপ্পা গানের একটি দলকে ঘিরে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, নারীর প্রতি সেসময়ের সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী, ধনী-গরীব বৈষম্য প্রভৃতি বিষয়ই এ নাটকটির মূল প্রতিপাদ্য। নাট্যকার রতন সিদ্দিকী জানান, “১৮০৪ সালে বাংলা টপ্পা গানের জনক রামনিধি গুপ্ত কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন আখড়াই। নিজস্ব পদ্ধতিতে সঙ্গীত শিক্ষা প্রচলনের মাধ্যমে দ্রুতই কলকাতার অভিজাত শ্রেণীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। কিন্তু, বয়সের ভারে শিষ্য মোহনচাঁদের কাছে শিক্ষাগুরুর দায়িত্ব হস্তান্তরের পরই ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে তাঁর প্রতিষ্ঠিত আখড়াইয়ের চেহারা। গুরু-শিষ্যের দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে মোহনচাঁদ গঠন করেন আলাদা দল, যার নাম হয় “হাফ আখড়াই”।
এ দ্বন্দ্বই অত্যন্ত সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে “হাফ আখড়াই” নাটকে। পরিচালক আজাদ আবুল কালামের মতে মোহনচাঁদের হাতে দলের দায়িত্ব যাওয়ার পর বাংলা টপ্পা গানের আরেক বাঁক পরিবর্তন দেখা দেয়। এ পরিবর্তন শৈল্পিক না হয়ে ছিল গণমানুষমুখী। তাঁর কথায়, “ঐতিহাসিক উপাদান এখানে মূল উপজীব্য নয়, ইতিহাসের ছাইয়ের ভেতরে আত্মার হাহাকারই এই নাট্যক্রিয়ায় উষ্ণীষ”।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল উদীচীর নাটক “হাফ আখড়াই”-এর পরিবেশনায় আপনার জনপ্রিয় গণমাধ্যমের একজন প্রতিবেদক ও ক্যামেরাম্যান/ফটোগ্রাফার প্রেরণ এবং এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রচার/প্রকাশের জন্য উদীচীর পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।