শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর প্রথম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ওয়াহিদ খানকে স্মরণ করলো উদীচী। মোস্তফা ওয়াহিদ খানের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গত ০১ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যায় উদীচী’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত হয় স্মরণ সভা। সেখানে মোস্তফা ওয়াহিদ খানের জীবনের নানা সময়ের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন উদীচী’র নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মোস্তফা ওয়াহিদ খানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর শোকের গান “আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে” এবং ”ও আলোর পথযাত্রী” গান দু’টি পরিবেশন করে উদীচী’র শিল্পীরা। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা। উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি শিবাণী ভট্টাচার্য্যওে সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উদীচী’র সহ-সভাপতি শঙ্কর সাওজাল, সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সরদার, সহ-সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন প্রমূখ। আলোচনায় বক্তারা বলেন, উদীচী’র প্রারম্ভিক পর্যায়ে মোস্তফা ওয়াহিদ খানের অসামান্য নেতৃত্ব গুণ এবং সাংগঠনিক দক্ষতার জন্যই বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী আজ দেশের অন্যতম বৃহত্তম সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উদীচী’র প্রতিষ্ঠাতা সত্যেন সেন, রণেশ দাশগুপ্তসহ অন্যান্য কৃতি ব্যক্তিদের সাথে একযোগে কাজ করে একটি অসাম্প্রদায়িক, মৌলবাদমুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণের যে স্বপ্ন নিয়ে উদীচী’র যাত্রা শুরু হয়েছিল সে পথচলাকে আরো প্রাণবন্ত করেছেন মোস্তফা ওয়াহিদ খান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদেও সাধারণ সম্পাদক ইকবালুল হক খান।
বক্তারা বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ৭০-এর দশকে উন্মাতাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও মোস্তফা ওয়াহিদ খানের ধৈর্য্য, সহনশীলতা ও বিচক্ষণতা বোধের কারণেই শত বাধা-বিঘœ পেরিয়েও স্বমহিমায় উজ্জ্বল ছিল বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে শারীরিক অসুস্থতার জন্য সংগঠনের নিয়মিত কার্যক্রম সক্রিয় না থাকতে পারলেও জীবনের শেষ দিন পর্যন্তও তিনি ছিলেন উদীচী-অন্ত প্রাণ। ১৯৯২ সালের ০১ আগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মোস্তফা ওয়াহিদ খান।