উদীচীর চলার পথপদর্শক প্রয়াত রণেশ দাশ গুপ্ত বলেছিলেন,সংস্কৃতি ক্ষেত্রে সারা বাংলায় অনেক মূল্যবান উপাদান ছড়িয়ে আছে যা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে এগিয়ে যাওয়ার। শুধু নান্দনিক দিক থেকে নয়.তার ঐতিহ্য নিয়ে সংগ্রামের মাধ্যমে বেচেঁ থাকার জন্য তা মূল্যবান। সেই আলোকে উদীচী পাথেও হিসেবে বেছে নিয়েছে এই সাংস্কৃতিক সম্মেলন। উদীচীর বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্যে একটি হলো এই সাংস্কৃতিক সম্মেলন। এর মধ্য দিয়ে উদীচী বুঝে নিতে চায় তার পথ চলায় তার শক্তি সামর্থ ।
গতবার দেশের জেলা ও থানা মিলিয়ে ৫২টি শাখা তাদের অনুষ্ঠান ঢাকার শহীদ মিনারে পদর্শন করেছে। এবার এর শংখা অনেক বৃদ্ধি পাবে। Continue reading উদীচীর সাংস্কৃতিক সম্মেলন ও প্রত্যাশা: গোলাম মোহাম্মদ ইদু
Day: October 16, 2014
ভারি ব্যাকুল বর্ষা: সঙ্গীতা ইমাম
ক্যানভাসে রঙ বদলানোর মোহিনী ইশারাকে কখনোই উপেক্ষা করেনি আবহমান বাঙলার অনন্য প্রকৃতি। সুন্দরের মিহিন শামিয়ানার নিচে, সহজিয়া মধুশালার সুলুকে রাত-জাগানিয়া মন কতো বর্ষায় ভিজেছে আনমোনে, কতো বৃষ্টিতে হয়েছে অনাবিল। এখনও আষাঢ়ে হাওয়ার উজানে নেশাতুর ঠোঁটে এসে লাগে বর্ষারাণীর আতুর আসবতৃষ্ণার গোলাপি ছোঁয়াচ। মুগ্ধতার আকাশের নিচে বিলোল বর্ষার বাঙলা আর বৃষ্টিভেজা ছবিতায় তার অপরিসীম সীমানা পেরিয়ে যাওয়া। আবার শহুরে বর্ষার চোখে চোখ রাখলে দেখি কী আশ্চর্য শ্রাবণ-রাখালের যামিনী আড় ভেঙে চলছে! কুহু-কেকা আর মেঘমল্লার যতোই আড়মোড়া ভাঙে, কালিদাসের সঘন সঙ্গে শহীদ কাদরীর বিচিত্র কথকতা ততোই গড়িয়ে যায় অন্য এক স্নিগ্ধ কুঠুরিতে, Continue reading ভারি ব্যাকুল বর্ষা: সঙ্গীতা ইমাম
প্রসঙ্গ : গণসঙ্গীত উৎসব ও প্রতিযোগিতা: প্রবীর সরদার
গণসঙ্গীতের সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেয়া কঠিন। তবে, সাধারণত গণসঙ্গীত মূলত জনগণের সঙ্গীত। জনগণকে সচেতন, উৎসাহিত বা আন্দোলিত করার সঙ্গীত এই গণসঙ্গীত। কোন রাষ্ট্রে বা সমাজে গতানুগতিক বৈষম্য, অসামঞ্জস্য, অসংগতি, অসংলগ্নতা ইত্যাদির বিরুদ্ধে আপামর জনসাধারণ যখন শিল্পের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ জানায়, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে গিয়ে সচেতন করার প্রয়াসে ওই বিষয়গুলো দিয়ে গান রচনা করে, তবেই সেটা গণসঙ্গীত। জীবনের বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন সময়ে তা উপস্থাপিত হতে পারে। আবার অন্যভাবে বলতে গেলে, গণসংগ্রামের গণচেতনায় গণসঙ্গীত সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শোষিত-বঞ্চিত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণে সম্পৃক্ত করে এবং স্বপ্ন পূরণের সার্থকতা খোঁজে। Continue reading প্রসঙ্গ : গণসঙ্গীত উৎসব ও প্রতিযোগিতা: প্রবীর সরদার
রণেশ দাশগুপ্ত সাহিত্য-বিষয়ক ভাবনা ও মূল্যায়ন: সৌমিত্র শেখর
সদাপ্রত্যক্ষ এই জীবনযাপনের বাইরেও তো মানুষের আরো একটি জগৎ থাকে- ভাবনার পরিম-ল! এখানে কিন্তু অন্যের হাত সামান্য, এর স্বয়ম্ভু বিশ্বকর্মা সে নিজেই; ওই মানুষটি। তিনি যদি হন শিল্পী অথবা কোনো এক মহান আদর্শে বুক বেঁধে জীবনের সিঁড়ি ভেঙে সামনে এগিয়ে যাওয়া প্রত্যয়ী ধীমান-তাঁর ক্ষেত্রে এ জগৎটি আরও সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। রণেশ দাশগুপ্তর ক্ষেত্রেও ঘটেছে ঠিক এ-রকম একটা কিছু। তিনি একাধারে ছিলেন সাংবাদিক, তাত্ত্বিক-রাজনীতিক, সৎ-সংগঠক, সাহিত্যবোদ্ধা ও সমালোচক। বহুক্ষেত্র-বিচরিত মানুষ হলেও তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপের আত্মপ্রণোদনার উৎস কিন্তু চিন্তার নির্দিষ্টতা থেকে, আদর্শের নিগূঢ় আন্তঃপ্রেরণায়। সে-অর্থে ‘সাহিত্যশিল্পী’ হয়তো তিনি নন, তবে সাহিত্য-বিবেচক নিশ্চয়। এ বিবেচনা কোনো বৃশ্চিক-বিষ্ঠাজাত নয়; নিজস্ব চিন্তনের উর্বর ভূমিতেই প্রোথিত এর মূল-রসের অমিত উৎস যেখানে দ্বান্দ্বিক বন্তুবাদী দর্শন। Continue reading রণেশ দাশগুপ্ত সাহিত্য-বিষয়ক ভাবনা ও মূল্যায়ন: সৌমিত্র শেখর
আমার নেতা সত্যেন সেন: জসিম উদ্দিন মন্ডল
অবিভক্ত বাংলা সাহিত্যের প্রগতিবাদী লেখক হিসেবে এবং এদশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অগ্রগামী নেতা হিসাবে পরিচিত নাম সত্যেন সেন। সবচেয়ে বেশি পরিচিত তাঁর এদেশের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের দীর্ঘ কালের সংগঠন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী’র প্রধান প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে। এবছর সত্যেন সেনের জন্ম শতবার্ষিকী। সত্যেন সেনের সাথে আমার প্রথম দেখা কমিউনিস্ট পার্টি আন্ডার গ্রাউন্ডের থাকার সময় এক গোপন মিটিংয়ে, মিটিংয়ে আসল নামে চিনতে পারিনি পরে জেনেছি ইনিই সত্যেন সেন। কারণ পার্টি আন্ডার গ্রাউন্ডে থাকার সময় প্রায় সকল পার্টি সদস্য …… ব্যবহার করতেন। এটাই নিয়ম ছিল। এর বেশি কিছু পরে রাজশাহী জেল থেকে আমাকে যখন ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে আসা হল তখন ঢাকা জেলে আমাকে থাকতে দিল ২৬ সেলে। ২৬জন কয়েদি এখানে থা তো বলে নাম ২৬ সেল। যুক্তফ্রন্ট সরকারের পর তখন মুসলিম লীগ সরকার ক্ষমতায় সম্ভবত ১৯৫৬ সাল। আমি এখানে এসে পেলাম সত্যেন সেন, রণেশ দাশগুপ্ত, সন্তোষ ব্যানার্জী, অজয় রায়, শহীদুল্লাহ কায়সার, ধীরেন ভট্রাচার্য্য, ময়মনসিংহের আলতাব আলী, আওয়ামী লীগের মনিসহ আরো অনেককে, আজ আর সবার কথা মনে নেই। আমি অনেকের থেকে অনেক ছোট এবং নতুন হওয়ায় সত্যেনদা আমাকে তার পাশে নিয়েছিলেন। তাঁর নং ছিল ৬ আর আমার নং ছিল ৫। পাকিস্তান সরকারের নিপীড়নমূলক আচরণের কারণে অনেক নেতাকর্মী বিশেষ করে কমিউনিস্ট নেতাকর্মী তখন জেলে, তাদের মধ্যে সরকারের তরফ থেকে কারো কারো বন্ড সই নিয়ে জেল খানা থেকে ছেড়ে দিতো। সত্যেনদার বা রণেশ দাশসহ আরো অনেকের মধ্যে এরকম কোনো লক্ষন দেখিনি। তারা বছরের পর বছর জেলে কাটিয়েছেন কিন্তু বন্ড সই দিয়ে জেল থেকে বেরুনোকে তাঁরা সবাই ঘৃণার চোখে দেখতেন। Continue reading আমার নেতা সত্যেন সেন: জসিম উদ্দিন মন্ডল