
বাংলা সাহিত্যের অমর কাহিনী কাব্য, পল্লীকবি জসিমউদ্দিন রচিত “নকশী কাঁথার মাঠ” মঞ্চায়ন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, গোপালগঞ্জ জেলা সংসদ। গত ১৯ ডিসেম্বর সন্ধা ৭টায় শিল্পকলা একাডেমীর পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়িত হয় এ গীতি নৃত্যনাট্য।
১৯২৯ সালে প্রকাশিত এই অনন্যসাধারণ আখ্যান কাব্যের রচয়িতা পল্লীকবি জসীমউদ্দীন। যখন বাংলা কবিতায় ইউরোপীয় ধাঁচের আধুনিকতার জোয়ার বইছে, ঠিক তখন তিনি গ্রামীণ জীবন, ঐতিহ্য, প্রেম, বিরহ, সমাজ, অর্থনীতি, সুখ, দুঃখ, আচার অনুষ্ঠান, শোষণ বঞ্চনা, শ্রেণী চেতনা, আর শ্রেণী সংগ্রামের কথা দিয়ে নানান প্রকৃতি ও বর্ণের সমন্বয়ে জীবন্ত চরিত্রের প্রেরণায় রূপদান করেন “নকশী কাঁথার মাঠ” কাব্যের।

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার শিলসী গ্রামের রূপা তথা রূপাই আর বনগায়ের সোনা তথা সাজু’র জীবনের নানান উত্থান পতনের আখ্যান, কাব্যের সুতায় রঙিন করেছেন কবি। একই মাঠের দুইপাশে দুই গ্রাম। এক গাঁএর ছেলে রূপাই এর অন্য গাঁয়ের একটি মেয়ে সাজুর সাথে প্রথম দেখা, প্রেম, প্রণয়, বিবাহ, ধান নিয়ে কাইজ্জা, পুলিশি অত্যাচার নির্যাতন, অতঃপর রূপাইয়ের বিরহে সাজুর মৃত্য এবং সাজুর দুঃখে রুপাইয়ের গমন আর এই সকল ঘটনার সাক্ষী সাজুর নকশী কাঁথা। বাংলা সাহিত্যের এই অনবদ্য কাহিনী কাব্য অবলম্বনে আনিসুর রহমান রাজুর নির্দেশনায়, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের নাটক বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায়, গোপালগঞ্জ জেলা সংসদের পরিবেশনায় গীতিনৃত্যনাট্যটি তন্ময় হয়ে উপভোগ করেন হলে উপস্থিত দর্শকরা।