যোদ্ধাপরাধী এটিএম আজহারের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে উদীচীর সন্তোস

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রংপুর অঞ্চলে ইসলামি ছাত্রসংঘের প্রধান হিসেবে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, নির্যাতন, বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগসহ অসংখ্য মানবতাবিরোধী অপরাধের অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী, জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। এক বিবৃতিতে উদীচীর সভাপতি কামাল লোহানী ও সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সরদার বলেন, কালবিলম্ব হলেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এটিএম আজহারের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির আদেশ দেয়ার ফলে ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত হয়েছে। পাশাপাশি এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধপ্রেমী কোটি কোটি জনতার আশা-আকাঙ্খার সঠিক প্রতিফলন ঘটেছে বলেও মনে করে উদীচী। এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনা মোট ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিই প্রমাণিত হওয়ায় তিনটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও এটিএম আজহারের অন্য কোন রায় কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতো না বলে মন্তব্য করেন কামাল লোহানী ও প্রবীর সরদার।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন ইসলামী ছাত্রসংঘ, যা পরবর্তীতে ইসলামী ছাত্রশিবির নাম নেয়- সেই সংগঠনের রংপুর জেলা সভাপতি এটিএম আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বেই বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়। সেসময় তার সহযোগিতাতেই রংপুর টাউন হলকে নির্যাতন কেন্দ্রে পরিণত করে মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোকজনকে ধরে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তাই, এটিএম আজহারের ফাঁসির রায়ে সেসময় নির্যানের শিকার মানুষদের পরিবার ও স্বজনরা স্বস্তি পেয়েছে বলে বিবৃতিতে মন্তব্য করেন উদীচীর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। একইসাথে শুধুমাত্র রায় ঘোষণাই নয়, সব ধরনের আইনি কূট কৌশল, জটিলতা কাটিয়ে ও অন্যান্য বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শিগগিরই এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে- জনগণ এমনটাই প্রত্যাশা করে বলেও মন্তব্য করেন উদীচীর নেতৃবৃন্দ।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.