মেট্রোরেলের ভাড়া কমানোর দাবি উদীচীর

২৮ ডিসেম্বর ঢাকায় উদ্বোধন হয়েছে মেট্রোরেল, যা বাংলাদেশের যোগাযোগ খাতের জন্য নিঃসন্দেহে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। মেট্রোরেল চালু হওয়ায় ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থার সংকট অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু, এরই মধ্যে মেট্রোরেলের যে ভাড়া তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অযৌক্তিক এবং অস্বাভাবিক বলে মনে করে উদীচী।

এক বিবৃতিতে উদীচীর সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, কিলোমিটার প্রতি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ টাকা। বাংলাদেশের মতো একটি দেশে যেখানে জনসংখ্যার অধিকাংশই নি¤œবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির, সেখানে মেট্রোরেলের এ ভাড়া নির্ধারণ গণবিরোধী বলে মনে করে উদীচী।

বিবৃতিতে উদীচীর সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বলেন, মেট্রোরেলের যে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে তা বর্তমানে রাজধানীতে চলমান বাস সার্ভিসগুলোর চেয়েও অনেক বেশি। তাই ব্যয়সক্ষমতার বাইরে গিয়ে এতো বেশি টাকা দিয়ে মেট্রোরেলে না চড়ে বেশিরভাগ যাত্রী বাসেই চলাচল করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে, রাজধানীতে গণপরিবহন সংকট, যানজট এবং যাত্রীদের জিম্মি করে বাসে ভাড়া নৈরাজ্য না কমে আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে, মেট্রোরেল চালুর মূল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে।

তাই উদীচী মনে করে, অবিলম্বে মেট্রোরেলের ভাড়া কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা উচিত। বিবৃতিতে উদীচীর সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা এবং কিলোমিটার প্রতি ভাড়া অর্ধেকে নামিয়ে আনার দাবি জানান। এটি করা হলে রাজধানীতে বসবাসরত সর্বস্তরের মানুষ মেট্রোরেলের সুবিধা সমানভাবে ভোগ করতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন অধ্যাপক বদিউর রহমান এবং অমিত রঞ্জন দে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.