রবীন্দ্র জয়ন্তী

গানে, আবৃত্তিতে, শ্রদ্ধায় উদীচী’র রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন

গানে, আবৃত্তি ও শ্রদ্ধায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করলো বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। গত ০৮ মে’২০১৭ রোববার (২৫ বৈশাখ’১৪২৪) সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে উদীচী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে (১৪/২, তোপখানা রোড- জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতে) আয়োজিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই উদীচী’র শিল্পীদের পরিবেশনায় “আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে” গানটির সাথে বিশ্বকবির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শীশ, সহ-সভাপতি অধ্যাপক এ এন রাশেদাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এরপর কাজী মোহাম্মদ শীশের সভাপতিত্বে শুরু হয় আলোচনা সভা।

আলোচনা সভার শুরুতে বক্তব্য রাখেন উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক ইকবালুল হক খান। এরপর উদীচী কল্যাণপুর শাখা পরিবেশন করে “হে নূতন দেখা দিক আরবার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ” এবং “নাই নাই ভয় হবে হবে জয়” গান দু’টি। এরপর শিখা সেনগুপ্তা পরিবেশন করেন “নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ” আবৃত্তিটি। মায়েশা সুলতানা ঊর্বি পরিবেশন করেন একক গান “খর বায়ু বয় বেগে চারিদিক ছায় মেঘে” গানটি। সুমিত পাল একটি ছোটগল্প পাঠ করে শোনান। আবৃত্তি করেন সুব্রত ভট্টাচার্য্য। এছাড়াও সঙ্গীত পরিবেশন করেন সুরাইয়া পারভীন, শামীম আল মামুন। দলীয় পরিবেশনা উপস্থাপন করে উদীচী মিরপুর এবং ধানমন্ডি শাখার শিল্পীরা। এছাড়া, সঙ্গীত পরিবেশন করেন ভারতের রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী বীণা ভট্টাচার্য্য এবং আবৃত্তি পরিবেশন করেন ভারতের বাচিক শিল্পী অরবিন্দ ঘোষ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সম্পাদকম-লীর সদস্য বেনজীর আহমেদ লিয়া।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মানুষের জীবনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না, বিদ্রোহ, বিক্ষোভসহ যত ধরণের অনুভূতি থাকতে পারে তার সবগুলো ক্ষেত্রেই অসাধারণ নৈপুণ্যে অবাধে বিচরণ করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতে যে কয়েকজন মানুষকে মহীরুহ হিসেবে বর্ণনা করা যায় তার মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম হিসেবে গণ্য হবেন। অসীম প্রতিভার অধিকারী এই মহামানব বাংলা সাহিত্যকে সম্পূর্ণ নতুন একটি মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্বের দাবিদার।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.