অধ্যাপক বদিউর রহমানকে সভাপতি এবং অমিত রঞ্জন দে’কে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ৯১ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কেন্দ্রীয় সংসদ গঠন করা হয়েছে। ০৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিন সন্ধ্যায় এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটির বাকি সদস্যদের নাম পরে ঘোষণা করা হবে।
০৮ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই সাংগঠনিক বা কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে সাংগঠনিক নানা পর্ অনুষ্ঠিত হয়। মধ্যাহ্নের পর নির্বাচনি অধিবেশন চলার সময় প্রস্তাবিত নতুন কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়া হয়। উদীচীর গঠনতন্ত্রে এধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রথমে কেউ নাম প্রত্যাহা করবেন কিনা সেটি জানতে চাওয়ার বিধান আছে। এরপর যারা নাম প্রত্যাহার করেন না তাদের ক্ষেত্রে ভোটের মাধ্যমে সকলের মতামত নেয়া হয়।


কিন্তু, অধিবেশনের সভাপতি হাবিবুল আলম পুরোপুরি অগণতান্ত্রিক ও উদীচীর গঠনতন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে জোর করে নতুন কমিটি নির্াচিত বলে ঘোষণা দেন। তাৎক্ষণিকভাবে কাউন্সিলরদের অধিকাংশ এ ঘোষণার বিপক্ষে অবস্থান নেন। কিন্তু, বেশিরভাগ প্রতিনিধির মতামতকে উপেক্ষা করে হাবিবুল আলম ও জামসেদ আনোয়ার তপন-এর নেতৃত্বে নতুন কমিটি ঘোষণা এবং শপথ গ্রহণের চেষ্টা করা হয়। তবে, যে শপথবাক্য তারা পাঠ করার চেষ্টা করেন সেটিও উদীচীর ঘোষণাপত্র বা গঠনতন্ত্রে নেই। এক পর্ায়ে তারা মিছিল নিয়ে সম্মেলন কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। এ অবস্থায় উদীচীর বেশিরভাগ জেলা ও শাখা সংসদের প্রতিনিধিরা হাবিবুল আলম ও জামসেদ আনোয়ার তপন-এর নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট আচরণের তীব্র নিন্দা জানান এবং তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেন।
পরে, অধ্যাপক বদিউর রহমান-কে সভাপতি ও অমিত রঞ্জন দে’কে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কেন্দ্রীয় সংসদ ঘোষণা করা হয়। শিশু একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে নতুন কমিটিকে শপথবাক্য পাঠ করান মাহমুদ সেলিম।