অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল নিয়ে আলোচনা সভা

গত ৬ এপ্রিল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয় অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল, ২০২৩। প্রস্তাবিত এই বিলকে জনস্বার্থবিরোধী এবং স্বৈরাচারী উল্লেখ করে এটি বাতিলের দাবিতে রাজধানীতে আলোচনা সভা করেছে প্রগতিশীল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ। ০৮ জুলাই শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র-এর কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট-এর সভাপতি, রাজেকুজ্জামান রতন। প্রগতি লেখক সংঘ-এর সহ-সভাপতি জাকির হোসেন-এর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন সমাজ অনুশীলন কেন্দ্র-এর রঘু অভিজিৎ রায়, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র-এর জাকির হোসেন, ভাষানী পরিষদ-এর ওমর তারেক চৌধুরী প্রমূখ। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল-এ বিধান রাখা হয়েছে, সরকার জনস্বার্থে প্রয়োজন মনে করলে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার ক্ষেত্রে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করতে পারবে। সেই সঙ্গে কোনো ব্যক্তি বেআইনি ধর্মঘট শুরু করলে বা চলমান রাখলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এছাড়া সরকার প্রয়োজন মনে করলে, জনস্বার্থে কোনো প্রতিষ্ঠানে লকআউট ও লেঅফ নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে।

আলোচনা সভায় বক্তারা জানান, প্রস্তাবিত বিলটি সংবিধানে উল্লেখিত জনগণের মতপ্রকাশের অধিকার এবং শ্রমিকদের ধর্মঘট বা প্রতিবাদ জানানোর অধিকার হরণ করার জন্য করা হচ্ছে। শ্রমিকরা কাজ করে এমন কোন খাত নেই যা অত্যাবশ্যকীয় সেবাখাতের আওতায় পড়ে না। তাই, ভবিষ্যতে এই আইনের দোহাই দিয়ে শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ের আন্দোলন এবং সংবিধান ও শ্রম আইন স্বীকৃত অধিকার কেড়ে নেয়া হতে পারে। এই বিল আইনে পরিণত হলে শ্রমিকদের আইনসঙ্গত আন্দোলনের পথ রুদ্ধ হবে। এটি কোনভাবেই করতে দেয়া যাবে না বলে আলোচনা সভায় উল্লেখ করেন বক্তারা। এ ধরনের একটি জনস্বার্থবিরোধী আইন পাস না করার জোর দাবি জানান আলোচনা সভার বক্তারা।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.